Monday, December 23, 2019

Ask yourself questions before ending a relationship

 
 
 
সম্পর্ক শেষ করার আগে প্রশ্ন করুন নিজেকে.....

কেউই চান না নিজের তিল তিল করে যত্মে গড়ে তোলা সম্পর্কটি ভেঙে যাক নিমেষেই। অনেকেই আছেন যারা দীর্ঘসময় ধরে চেষ্টা করতে থাকেন সম্পর্ক ধরে রাখার, এতে যতো সমস্যাই হোক না কেন। কিন্তু কিছু সময় আছে যখন সম্পর্ক ধরে রাখার যন্ত্রণা ছেড়ে দেয়ার যন্ত্রণা থেকে অনেক বেশী হয়। তখনই সম্পর্ক ভেঙে ফেলা উচিত, আর কিছু না হোক অন্তত চিন্তা করা উচিত সম্পর্ক ভেঙে ফেলা নিয়ে। তবে চিন্তা মাথায় এলেই হুট করে সম্পর্ক ভেঙে না ফেলে নিজেকে কিছু প্রশ্ন করে নিন। হতে পারে আপনি যা নিয়ে সম্পর্কে থেকে কষ্ট পাচ্ছেন তা আপনার নিজেরই তৈরি। নিজেকে প্রশ্ন করে আগে বুঝে নিন সমস্যাটা কোথায় হচ্ছে এবং সম্পর্কটি আসলেই ভেঙে ফেলা উচিত কি না।

১) সম্পর্কে থেকে আমি সুখ না দুঃখ কোনটা বেশী পাচ্ছি?
মাথায় যেহেতু সম্পর্ক ভাঙার কথা আসছে সেহেতু নিশ্চয়ই আপনি কষ্ট পাচ্ছেন। কিন্তু এখানে ভেবে দেখার প্রয়োজন রয়েছে যে আপনি সম্পর্কে থাকা পুরো সময়ে কি শুধুই কষ্ট পেয়েছেন নাকি আপনার বর্তমান অবস্থার জন্য চিন্তা করছেন সম্পর্ক ভেঙে ফেলার? যদি আপনি শুধুমাত্র বর্তমানের জন্য সম্পর্ক ভাঙতে চান তাহলে হুট করে সিদ্ধান্ত না নেয়াই উচিত। যদি আগে আপনাদের মধ্যে সুসম্পর্ক থেকে থাকে এবং আপনি সুখে থেকে থাকেন তাহলে আরেকবার চেষ্টা করা উচিত। আর যদি একেবারেই সুখে না থেকে থাকেন তাহলে ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলুন।

২) আমার কি সম্পর্কে থাকার জন্য নিজের সবকিছুই বিসর্জন দিতে হচ্ছে?
দুজন মানুষের অনেক ছাড় দেয়ার মাধ্যমেই সম্পর্ক মজবুত হয়ে গড়ে ওঠে। এবং সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দুজনের মধ্যেই পরিবর্তন জরুরী। কিন্তু যদি সম্পর্কের জন্য নিজের স্বত্বা, চিন্তা চেতনা সবই বিসর্জন দিতে হয় তাহলে সম্পর্কে থাকা নিয়ে অবশ্যই নিজেকে প্রশ্ন করা উচিত। কারণ, যে সম্পর্কে নিজের সব কিছু এমনকি নিজের স্বত্বাও বাদ দিতে হয় তাহলে সম্পর্ক ভেঙে ফেলাই ভালো।

৩) আমরা কি ঝগড়া বেশী করি নাকি সুখস্মৃতি বেশী?
সম্পর্কে একটু ঝগড়াঝাঁটি হয়েই থাকে। ছোটোখাটো ব্যাপারেও ঠোকাঠুকি লেগে যায় অনেকের মধ্যে। কিন্তু এখানে বিষয়টি হচ্ছে আপনারা সম্পর্কের ঠিক কতোটা সময় ঝগড়া করে কাটিয়েছেন বলুন তো? আর আপনাদের ঝগড়ার পর মনোমালিন্যের সময়ে মনে করার মতো সুখস্মৃতি কতোটা রয়েছে তাও হিসেব করে দেখুন। হিসেব করার একটিই অর্থ রয়েছে, আর তা হচ্ছে, এই সুখস্মৃতি যতো বড় ঝগড়াই হোক না কেন দুজনের মান ভাঙাতে যথেষ্ট। কিন্তু যদি আপনাদের সম্পর্কে এই সুখস্মৃতিই না থাকে তাহলে নিজেদের মধ্যে আকর্ষণ সত্যিই হারাতে থাকবেন এবং এই সম্পর্কের আসলেই কোনো ভবিষ্যৎ নেই।

৪) আমি কি সত্যিই তাকে ভালোবাস্তি
এই প্রশ্নটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই ভালোলাগা এবং শুধুমাত্র একাকীত্ব কাটানোর মানুষ খুঁজে পাওয়াকে ভালোবাসার নাম দিয়ে বসে থাকেন। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যেই এই ধরণের ভালোলাগা কাটতে শুরু করে এবং তখন সম্পর্কে টানাপোড়নের শুরু হয়। যদি আপনার সাথে এই ধরণের কিছু হয়ে থাকে তাহলে সম্পর্ক ভাঙা নিয়ে চিন্তা করুন। আর যদি এরকমটি না হয় তাহলে ভাবুন আরেকটি বার। নিজেকেই প্রশ্ন করে দেখুন না, ‘আমি কি তাকে সত্যিই ভালোবাসি নাকি, সে শুধুই আমার একাকীত্ব ঘোচানোর মানুষ’।

Saturday, November 16, 2019

My wife does nothing আমার বউ কিছুই করে না

আমার বউ কিছুই করে না
==================

--- হ্যালো ভাই, আপনি কি করেন?
--- আমি একটা ব্যাংকের ক্যাশ অফিসার।
--- বাহ্! খুব ভালো। তা আপনার স্ত্রী?
--- সে কিছুই করে না। স্রেফ গৃহিণী।
--- তাই নাকি? তা ভাই, সকালে আপনার ফ্যামিলীর জন্য নাস্তা কে বানান?
--- আমার বউই করে। কারণ সে তো কিছু করে না।
--- ঠিকি তো। আচ্ছা, এখন বলুন তো, তিনি ঘুম থেকে কখন ওঠেন?
--- সে ভোর পাঁচটায় ওঠে। কারণ নাস্তা বানানোর আগে তাকে ঘর-দোর পরিস্কার করতে হয়।
--- আপনার বাচ্চাদের কে স্কুলে নিয়ে যায়?
--- সে-ই নিয়ে যায়। কারণ, তার তো আর অন্য কোনো কাজ নেই।
--- হা হা হা.... বেশ বলেছেন। আচ্ছা এখন বলুন তো, বাচ্চাদের স্কুলে দিয়ে তিনি কোথায় যান? কি করেন?
--- বাচ্চাদের স্কুলে দিয়ে সে বাজারে যায়, বাসায় ফিরে কাপড় কাচে, ঘর-মেঝে পরিস্কার করে, রান্না-বান্না করে। এছাড়া তার তো আর কাজ নেই।
--- বেশ। এবার বলুন- লাঞ্চের পর তিনি কি করেন?
--- তেমন কিছু না। ধোয়া কাপড়-চোপড় ঘরে এনে ইস্ত্রি করে, ঘর-বিছানা গোছায়, বাচ্চাদের স্কুল থেকে নিয়ে আসে, খাওয়ায়, টিউটরের জন্য নাস্তা রেডি করে -- এইসব টুকিটাকি কাজ আর কি। এইটুকু না করলে তো শরীর ভারী হয়ে যাবে, অসুখ-বিসুখ বাসা বাঁধবে।
--- খুবই খাঁটি কথা বলেছেন। আচ্ছা, বিকেল থেকে রাতে শোয়া পর্যন্ত তিনি আর কি কি করেন?
--- হা হা হা ... ওই যে বললাম - তেমন কিছু না। টুকিটাকি হালকা কাজ।
--- যেমন?
--- এই ধরেন, বিকেলের নাস্তা-চা বানায়, ঘর-আঙ্গিনা ঝাট দেয়, রাতের জন্য রান্না করে, বাচ্চাদের পড়াতে বসায়, আত্মীয়-মেহমান এলে তাদের অপ্যায়ন করে, সবাইকে ডিনার করিয়ে নিজে খায়, এঁটো বাসন-কোসন মাজে, বাচ্চাদের ঘুম পাড়িয়ে নিজে ঘুমায়।

--- বুঝলাম আপনার বউকে তেমন কিছুই করতে হয় না। অনেক শান্তিতে আছেন তিনি। এবার আপনার রুটিনটা বলুন।
--- আমার তো ভাই ম্যালা কাজ, ম্যালা ঝাক্কি-ঝামেলা। সেই সকাল আটটায় উঠি, তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নাস্তা করেই অফিসের দিকে ছুটি।
--- তারপর?
--- সন্ধ্যার আগে আগে বাসায় ফিরি।
--- বাসায় ফিরে কি করেন?
--- সারাদিনের হাজারো কাজে খুব টায়ার্ড হয়ে যাই, তাই ঘন্টা দুয়েক রেস্ট করি। বউ চা দেয়, চা খেতে খেতে টিভি দেখি, পেপার পড়ি।
--- তারপর কি করেন?
--- হালকা ড্রেস আপ করে বাজারে বা ক্লাবে যাই। শারীরিক মানসিক পরিশ্রমে বোরড হয়ে যাই। একটু রিক্রিয়েশন না করলে মাথা ঠিক থাকে না।
--- বাজারে গিয়ে কি করেন?
--- বন্ধু-বান্ধব নিয়ে আড্ডা দেই, তাস খেলি, চা-কফি, পান-বিড়ি খাই।
--- বাসায় ফেরেন ক’টায়?
--- এই ধরেন.. সাড়ে দশটা - এগারটা।
--- তারপর?
--- তারপর আর কি? খেয়ে-দেয়ে টিভি দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়ি।
--- বাচ্চারা জেগে প্রস্রাব-পায়খানা করতে চাইলে কে ওঠেন? আপনি না ভাবী?
--- আমার ক্লান্ত শরীর, ঘুম-বিশ্রামের খুব প্রয়োজন। গিন্নী তো কিছুই করে না, তাই সেইই ওঠে। হা হা হা হা হা....