Wednesday, February 26, 2020

How To Save Your Gmail Account With Youtube Tips Bangla

একটি মনিটাইজ চ্যানেল একটি স্বপ্ন-

একটি ইউটিউব চ্যানেল শত রাত জাগা পরিশ্রমের ফসল-

আপনার চ্যানেল যদি নিরাপদে থাকে তাহলে আপনার স্বপ্নেটিও

নিরাপদে থাকবে। চ্যানেল নিরাপদ রাখার জন্য আমাদের প্রত্যেককেই যা খেয়াল রাখা প্রয়োজন।

১. পাসওয়ার্ডঃ

অনেকেই জিমেইল এর খুব নরমাল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে থাকে ৷ এমন কি নামের সাথে নাম্বার যুক্ত করে দিয়ে রাখে।

শক্ত পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। পাসওয়ার্ড এর ধরন গুলো এই টাইপ হতে পারে- - *&%@*%#*J%2@%., "3124

২. Two step verification :

চ্যানেল / মেইল / ফেইসবুক হ্যাকারের হাত থেকে রক্ষার কার্যকরী সিকিউরিটি হল Two step verification চালু রাখা। এইটা চালু রাখলে হ্যাকিংয়ের হাত থেকে বাচার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

Note : যে নাম্বার ব্যবহার করা হবে, তা সিকরেট হলে ভালো হয়। ও নরমাল বাটন ফোনে থাকলে আরো ভালো হয়। কারন অনেক সময় ডিভাইস হ্যাক হয়ে যায়, তখন SMS এর একসেস ও পেয়ে যায়।

৩. অফিসিয়াল এপ্পস / সফটওয়্যার ব্যবহারঃ

অধিকাংশ ডিভাইস হ্যাক হওয়ার পিছনের অন্যতম কারণ হল আনঅফিশিয়াল এপ্পস / সফটওয়্যার ব্যবহার করা। কারন অনেক এন্ডয়েড ব্যবহারকারীরা প্লেস্টোর ছাড়াও অনেক এপ্পস ব্যবহার করে, যা তাদের অজান্তেই তাদের ফোনের একসেস নিয়ে নিচ্ছে।

পিসি ইউজারদের বেশিরভাগ মানুষ ই ক্রাক / মুডিফাইড সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকে। এতে ভাইরাস / হ্যাকিং টুলস ও ক্ষতিকর এপ্লিকেশন নিজের অজান্তেই পিসিতে হিডেন ভাবে ইনস্টল হয়ে যাচ্ছে। আর এভাবেই অনেক ব্যাক্তিগত তথ্য / তথা হ্যাকিংয়ের শিকার হচ্ছে।

৪. ইন্টারনেট সিকিউরিটিঃ

বর্তমান সময়ে সবাই ইন্টারনেট এর সাথে সংযুক্ত। অনেক ওয়েব সাইট ব্রাউজ করতে হয়। এদের অনেক সাইট পপ এডস এর মাধ্যমে ম্যালওয়্যার ছড়িয়ে থাকে। যা পরবর্তিতে আমাদের ডিভাইসে প্রবেশ করে অনেক তথ্য হাতিয়ে নেয়। তাই আমাদের ভালো এন্টিভাইরাস ব্যবহার করা উচিৎ।

ফ্রি এন্টিভাইরাস কখনোই ব্যবহার করবেন না প্রয়োজনে উইন্ডোজ ডিফল্টার ব্যবহার করেন।

৫. স্পাম মেইলঃ

অনেকেই তাদের যে মেইল দিয়ে চ্যানেল খোলা ওই মেইল কন্টাক ইনফো / এবাউটে দিয়ে রাখে। তার পর হ্যাকাররা কৌশলে স্পামিং মেইল পাঠিয়ে অনেক তথ্য চায়, অনেকেই ইউটিউব এর মেইল ভেবে তথ্য দিয়ে বসে। এতেই চ্যানেল হাকিং এর শিকার হয়।

৬. লোভনীয় স্পনসরঃ

অনেকেই লোভনীয় স্পন্সরে পরে তারা তাদের চ্যানেল এর তথ্য দিয়ে থাকে, যা চ্যানেল হ্যাকিং এর আরেক টি কারন।

* আপনার চ্যানেল টি ব্রান্ড একাউন্টে ট্রান্সফার করা।

* রিকভারি ইমেইল টি সম্পূর্ণ আপনার নিয়ন্ত্রনে রাখা।

* নিয়মিত ইমেইল নোটিফিকেশন চেক করা।

* ব্রাউজার থেকে নিয়মিত কুকিস রিমুভ করা।

* ক্রাক ফাইল ব্যবহারে সাবধানতা অবলম্বন।

* ব্রাউজার হিস্টোরিতে জিমেইল এক্সেস এবং পাসওয়ার্ড সেভ না রাখা।

* ডিভাইসকে হ্যাকিং থেকে সুরক্ষার জন্য Two step verification যে মোবাইল নাম্বার দিয়ে করা তা এমন একটি মোবাইলে ব্যবহার করেন যাতে কখনো ইন্টারনেট কানেকশন দেয়া হয় না। অর্থাৎ একই মোবাইল দিয়ে চ্যানেল লগইন এবং ভেরিফিকেশন কোড আনা থেকে বিরত থাকা।

অনুমান করা যাচ্ছে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চ্যানেল হ্যাক হচ্ছে ডিভাইস হ্যাক এর মাধ্যমে।

(ইউটিউব চ্যানেল সুরক্ষার বিষয়ে আমি আমার সামান্য অভিজ্ঞতা টুকু আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আপনাদের কারো কাছে যদি মনে হয় আরো কিছু ইনফরমেশন সংযুক্ত করতে হবে তাহলে কমেন্টে উল্লেখ করবেন)

(তিলেতিলে পরিশ্রম করে শত রাত জাগা আপনার স্বপ্নের চ্যানেলটি নিরাপদ থাক)